জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর – BANGLANEWSUS.COM
  • ২২শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর

বিশেষ প্রতিবেদন: প্রায় তিন দশকের অচলাবস্থা ভেঙে ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিধিবদ্ধ সময় পেরিয়ে গেলেও নতুন নির্বাচনের কোনও সাড়াশব্দ নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোও এই দাবিটিকে আর সামনে আনছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারাও বলছেন, তাদের আগ্রহ এখন ডাকসু নয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তারা মনে করছেন, এই সময়ে নির্বাচন হলে তাতে সরকারের প্রভাব থাকবে বেশি। তাছাড়া এ সময়ে নির্বাচিতদের কাজ করার সুযোগও থাকবে না।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন দেখেছি। বিভিন্ন হল থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। আপনারাই (সাংবাদিকরা) সেগুলো উদঘাটন করেছেন। আসলে এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু হবার সুযোগ নেই। এরা বিরোধী মতের কাউকে নির্বাচিত হতে দেবে না।’

সাইফ মাহমুদ জুয়েলের দাবি, ‘লোক দেখানো দুই-একজনকে পরিকল্পিতভাবে জেতাবে কিন্তু কাজ করতে দেবে না। এই নির্বাচন মূল্যহীন, তার থেকে আসুন সবাই মিলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হই।’

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন হয় ২০১৯ সালে। ওই নির্বাচনে ভিপি হিসেবে নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ডাকসু কমিটির মেয়াদ ১ বছর। এরপর নুরুল হকের দল গণ-অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের দাবি তোলা হলেও তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয়নি।

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ মনে করেন, ডাকসু নির্বাচন দরকার। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।