জনস্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে - BANGLANEWSUS.COM
  • ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

 

জনস্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে

newsup
প্রকাশিত মে ৩, ২০২৩
জনস্বার্থ বিবেচনায় রাখতে হবে

Exif_JPEG_420

সম্পাদকীয়: মানুষের জীবনযাপনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই জ্বালানি তেলের দামের হ্রাস-বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে, সেগুলোর দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের শর্ত পূরণে ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বিশ্ববাজারের জ্বালানি তেলের মূল্যের সঙ্গে দেশের বাজার সমন্বয় করতে একটি কাঠামো তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তিন মাস অন্তর পর্যালোচনা করে নতুনভাবে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করা হবে। বিগত সময় দেখা গেছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তি থাকলেও সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের বাজারে তেল বিক্রি করেছে। আবার ২০১৯-২০২০ সালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ কমলেও দেশের বাজারে খুব একটা কমেনি।

কাজেই আগামী দিনে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের জনগণ যেন এর সুফল পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার নতুন যে কৌশলের কথা বলছে, প্রকৃত অর্থে এটি একেবারে নতুন কিছু নয়। অনেক দেশেই বিশ্ববাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে কিছুদিন পরপর জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের নিয়ম চালু আছে। আমদানি করা জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণে সারা বিশ্বে বেশকিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কোনো কোনো দেশে প্রতিদিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বিবেচনায় অভ্যন্তরীণ বাজারে এর দাম সমন্বয় করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের বিষয়ে বর্তমান সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে নিয়েছে, যখন দেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত তীব্র মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে যদি সরকার কয়েক মাস পর জ্বালানি তেলের মূল্য মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি করে, তাহলে দেশের বহু মানুষ বিপাকে পড়বে। এতে কৃষি ও শিল্প উৎপাদনসহ জনজীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হবে, যা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সে অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের যা যা করার সুযোগ রয়েছে, তার সবই করতে হবে। তা না হলে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে দরিদ্র মানুষকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।