দেশে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৩০, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

দেশে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে

newsup
প্রকাশিত মে ১৫, ২০২৩
দেশে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে

বিশেষ প্রতিবেদন: দেশে বর্তমানে মানুষের দৈনিক গড় ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। বিবিএসের দাবি, ২০১০ সালে মাথাপিছু গড়ে ২৩১৮.৩ ক্যালরি গ্রহণ করতো মানুষ। এর ৬ বছর পর ২০১৬ সালে গড় ক্যালরিগ্রহণের পরিমাণ কমে গিয়ে দাঁড়ায় ২২১০.৪। তবে ২০২২ সালে মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯৩.০-তে। দেখা যাচ্ছে, একযুগের ব্যবধানে মানুষের ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ সামান্যই বেড়েছে। বিবিসের জরিপের এই তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই জরিপ থেকে সিদ্ধান্তে আসাটা এক ধরনের ‘স্ট্যাটিসটিক্যাল ধাঁধা’। বিবিএস কোন প্রেক্ষাপটে, কী অবস্থায়, কোন পদ্ধতিতে এই জরিপ করেছে সেটা দেখার বিষয়। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষ এখন আগের চেয়ে খাওয়ার বিষয়ে সচেতন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, দেশের মানুষ বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২৩৯৩ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে। চাল, ডাল, গম, শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও ফলমূল থেকেই সাধারণত এই ক্যালরি আসে। ছয় বছর আগে ২০১৬ সালে দেশের মানুষ গড়ে দৈনিক ২২১০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করতো। ‘খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২’ -এর প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে ১৪ হাজার ৪০০ খানার তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জরিপের এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোন পদ্ধতি মেনে জরিপটি হচ্ছে সেটা বিবেচনায় নেয়া খুব জরুরি। অসমানুপাতিক বিষয়ে গড় করলে দুর্বলের ওপর চাপ বাড়ে।

২০২২ সালে গত ১২ বছরের তুলনায় খাদ্য হিসেবে চালের গ্রহণ কমেছে। জরিপ বলছে, গ্রামে ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪৪১ দশমিক ৬ গ্রাম চালের গ্রহীতা দেখা গেলেও ২০২২ সালে সেটা ৩৪৯ দশমিক ১ গ্রাম হয়েছে। আর শহরের ক্ষেত্রে ২০১০ সালে পরিমাণটা ছিল মাথাপিছু ৩৪৪ দশমিক ২ গ্রাম, যা ২০২২ সালে এসে ২৮৪.৭ গ্রাম হয়েছে। অপরদিকে মাছ ও ডিমের ক্ষেত্রে মাথাপিছু গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১০ সালে গ্রামে মাছের মাথাপিছু গ্রহণ ছিল ৫৯ দশমিক ৬ গ্রাম, যা ২০২২ সালে হয়েছে ৬৭ দশমিক৭ গ্রাম। আর শহরে ১০ বছর আগে ছিল মাথাপিছু ৮৫ দশমিক ১ গ্রাম, আর ২০২২ সালে সেটা হয়েছে ৬৮ দশমিক ২ গ্রাম। ডিমের ক্ষেত্রেও মানুষের মাঝে আগের চেয়ে পরিমাণে বেশি গ্রহণ করার প্রবণতা দেখা গেছে।

২০১০ সালে গ্রামে মাথাপিছু দুধ ও দুধ জাতীয় পণ্যের গ্রহণ ৩১ দশমিক ৮ গ্রাম হলেও ২০২২ সালে তা ৩২ দশমিক ১ গ্রাম হয়েছে। শহরে এর পরিমাণ ২০১০ সালে ৩৯ দশমিক ২ গ্রাম হলেও জরিপ বছরে ৩৮ দশমিক ৫ গ্রাম হয়েছে। ফল গ্রহণে গ্রামে ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪২ দশমিক ৬ গ্রাম হলেও ২০২২ সালে ৯০ দশমিক ৯ গ্রাম হয়েছে। আর শহরে ২০১০ সালে মাথাপিছু ফল খেতো ৫০ দশমিক ৪ গ্রাম, বর্তমানে তা মাথাপিছু ১০৫ দশমিক ৩ গ্রামে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।