গ্রেফতারকৃতদের কঠোর শাস্তি কাম্য

Daily Ajker Sylhet

editorbd

০৫ ফেব্রু ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ণ


গ্রেফতারকৃতদের কঠোর শাস্তি কাম্য

সম্পাদকীয়: পরিচয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের কতিপয় সদস্যের অপকর্মে
লিপ্ত হওয়ার নজির নতুন নয়। অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তাদের কেউ কেউ
ধরাও পড়ে। সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের
অভিযোগে রাজশাহী ও দিনাজপুরের তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের
মধ্যে দুজন কনস্টেবল, অপরজন এএসআই। যুগান্তরের খবরে প্রকাশ-আটকের পর
শনিবার সন্ধ্যায় তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে পুলিশের এ সদস্যরা ১৫-২০ জন
চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। এজন্য
পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোনও সরবরাহ করেন তারা।
কথা ছিল, এ হেডফোনের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নের সব উত্তর বলে
দেওয়া হবে। এজন্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা করে চুক্তিও
হয়। আটকের পর পুলিশের অভিযানে তাদের কাছ থেকে কিছু স্ট্যাম্প, একটি ১০ লাখ
টাকার চেক ও ১৪টি গোপন ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। এমন অপতৎপরতা রোধে
সফল হওয়ার জন্য আরএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের ধন্যবাদ।

পুলিশ রাষ্ট্রের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেবাধর্মী সংস্থা। এ সংস্থার সদস্যরা দেশের
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন, অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেন। তাই কোনো পুলিশ সদস্যের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য
নয়। যদিও যারা এ কুকর্ম করেছে, এ দায় তাদের সম্পূর্ণ নিজেদের, তবে আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর সদস্য হিসাবে প্রত্যেককেই মনে রাখতে হবে, দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই
নিজের ও দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা অনেকগুণ বেড়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর একজন সদস্যের যে কোনো অসাধু কাজ পরোক্ষভাবে হলেও সেই
বাহিনীর সুনামের ওপর প্রভাব ফেলে।
আমরা আশা করব, এহেন কাজের জন্য অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ
কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি যারা অনৈতিক উপায়ে পরীক্ষায় পাশের
চেষ্টা করেছিল, তাদেরও আইনের আওতায় আনা দরকার, যাতে অসাধু উপায়ে কেউ
শিক্ষকের মতো মহান দায়িত্বে যেতে না পারে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।