ফের রাস্তায় আহতরা, সুচিকিৎসায় সময়ক্ষেপণ কাম্য নয়

Daily Ajker Sylhet

editorbd

০৪ ফেব্রু ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ণ


ফের রাস্তায় আহতরা, সুচিকিৎসায় সময়ক্ষেপণ কাম্য নয়

সম্পাদকীয়:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সব বিল সরকার বহন করবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তাদের খোঁজখবর নিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটিও গঠন করে।

কিন্তু ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ কিংবা তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কার্যকর উদ্যোগের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই শনিবার ফের আহতদের সড়কে নামতে দেখা গেল।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে বের হয়ে সড়ক অবরোধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টায় তারা শ্যামলীর শিশুমেলা মোড়ে ফের অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। তাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পুনর্বাসন, সুচিকিৎসা, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ ও আহতদের ক্যাটাগরি বাদ দিতে হবে।

বিকালে আহতদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি অধিদপ্তর করা হবে-সরকারের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস আসে। এ কারণে আহতদের একাংশ সড়ক ছেড়ে গেলেও অন্যপক্ষ দাবিতে অনড় থাকে। তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের উদ্দেশে রওয়ানা দেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশের সড়কে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পরে সেখানেই অবস্থান নেন তারা। উল্লেখ্য, একই দাবিতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর পঙ্গু হাসপাতালের সামনে এবং চলতি বছরের ২ জানুয়ারি শাহবাগে সড়কে বিক্ষোভ করেন আহতরা। তখনো সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে ফিরে গিয়েছিলেন তারা। দুঃখজনক হলেও সত্য, সুচিকিৎসায় ব্যত্যয় ঘটার কারণেই ফের তাদের সড়কে নামতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ এক নতুন দিনের স্বপ্ন দেখতে পারছে, সেই সাহসী বীরদের প্রতি অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।