চিকিত্সাবিদ্যার উন্নতির ফলে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারও আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। তবে জটিল অপারেশন এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতে সার্জনকে সহায়তা করতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির প্রক্রিয়া চলছে।
জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলছে। বেশ জটিল অপারেশন। প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগবে। সার্জন ইয়ুর্গেন মাইক্সেনব্যার্গার বলেন, ‘রোগীর মস্তিষ্কের সারফেসের ঠিক নীচে পস্টেরিয়ার লোবের পিছন দিকে একটা টিউমার ধরা পড়ে।’ তিনি হাত দিয়েই কাজ সারছেন। কিন্তু সেই কাজে তাকে সাহায্য করছে রোবট। সার্জনকে মস্তিষ্কের ভিতরের অংশ ও রোগীর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে চলেছে এটি। অপারেশন সফল হওয়ায় টিমের সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। সার্জন এ কারণেও খুশি যে অপারেশনের সময় রোবটকে কিছুই জিজ্ঞাসা করতে হয়নি। সমস্ত দরকারি তথ্য নিজেই সংগ্রহ করে ডাক্তারকে সরবরাহ করেছে।
তবে রোবট যে কেবল তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে তা কেবল নয়, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক হাসপাতালে এই যন্ত্র নিজেই জটিল জটিল অপারেশনের কাজ সফলভাবে করে ফেলছে। জার্মানির হামবুর্গের মার্টিনি ক্লিনিকে সারা দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোস্টেট অপারেশন করা হয়। সেই অপারেশন যারা করে, তাদের মধ্যে নামকরা শল্যচিকিত্সক ছাড়াও একটি রোবটও আছে। সেটিও প্রোস্টেট অপারেশনে দারুণ হাত পাকিয়েছে।
এদিকে, জার্মানির লাইপসিশ শহরে পরীক্ষামূলক এক অপারেশন থিয়েটারে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হবে। সেখানে মানুষের চেয়ে রোবটদের অংশগ্রহণ থাকবে বেশি। অপারেশন থিয়েটারে যাতে একাধিক কোম্পানির যন্ত্রপাতি সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, সেটাও সম্ভব করতে চান তারা। ফলে অপারেশন প্রক্রিয়া আরো দক্ষতার সাথে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা যাবে। গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে ইন্টেলিজেন্ট সফটওয়্যার সার্জনকে সহায়তা করবে, তাদের কাজ অনেক সহজ করে দেবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।