ডেস্ক রিপোর্ট :: গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো গত ডিসেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বা বিইআরসিকে। মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার গ্যাস বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়।
এ প্রসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের জ্বালনি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। কোম্পানিগুলো এখনো লাভেই আছে। সরকার তো ব্যবসায়ী না, সরকার জনগণকে সেবা দেবে। কিন্তু এখানে হচ্ছে উল্টোটা ।
বৃহস্পতিবার জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির খেসারত সাধারণ মানুষকেই দিতে হবে। ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আর লাভবান হবেন মাত্র ৫ থেকে ১০ ভাগ মানুষ।
তিনি আরো বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ালে পরিবহণ, বিদ্যুৎ, পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব খাতে ব্যয় বাড়বে। এই বাড়তি ব্যয়ের প্রতিটি অর্থ আবার ব্যবসায়ীরা জনগণের কাছ থেকেই পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়ে আদায় করবেন। তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো সরকার। গণশুনানি করে বিইআরসি গ্যাসের দাম কিছুটা বাড়িয়েছিল।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।