৫ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ২:৪৫, ২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

৫ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত মার্চ ২৮, ২০১৯
৫ বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

Manual3 Ad Code

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আবারও চাঁদে নভোচারী পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। সম্প্রতি চাঁদের উল্টো-পিঠে চীনের চালানো রোবোটিক মিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ষাটের দশকের মতো আমরা এখনও একটা মহাকাশ-কেন্দ্রীক প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছি।

Manual6 Ad Code

অ্যালাব্যামার হান্টসভিলের ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিলের সভায় দেয়া এক বক্তৃতায় পেন্স বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে চাঁদে আবারও মার্কিন নভোচারী পাঠানোর বিষয়টি বর্তমান প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নীতির মধ্যেই রয়েছে। বিশ শতকে প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক এভাবেই একুশ শতকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরাই হব প্রথম জাতি।

চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠানোর ব্যাপারে আগে থেকেই পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। কিন্তু পেন্সের ঘোষণা এর সময়সীমাকে আরও বেগবান করবে। তবে নাসা এবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুকে লক্ষ্যবস্তু করবে, যেটি স্থায়ী অন্ধকারাচ্ছন্ন চ্যালেঞ্জিং একটি অংশ। কিন্তু ওই অংশটি জমাট পানি বা বরফের একটি আঁধার, যাকে মহাকাশযানের জন্যে জ্বালানিতে রূপান্তর করতে চায় নাসা ।

১৯৬৯ সালে চাঁদের অবতরণকারী প্রথম মানুষ নীল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, এটা মানুষের জন্য ক্ষুদ্র পদক্ষেপ, কিন্তু মানবজাতির জন্য বিশাল এক যাত্রা। নীল আর্মস্ট্রংয়ের সেই কথার পুনরাবৃত্তি করে পেন্স বলেন, পরবর্তী বিশাল পদক্ষেপের এখনই সময়।

Manual7 Ad Code

পেন্স আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন মহাকাশচারীদের চাঁদে পাঠাতে হবে। সেখানে মার্কিন নভোচারীদের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠার পর তারা মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করবে। এর জবাবে ইউএস স্পেস এজেন্সির পরিচালক জিম ব্রাইডেনস্টাইন টুইট করে জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা হল। এখন কাজ শুরুর পালা।

নাসার পরিকল্পনা ছিল, প্রথমে চাঁদের কক্ষপথের কাছে গেটওয়ে নামে একটি স্পেস স্টেশন বানানো হবে। এরপর ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারী পাঠানো হবে চাঁদে। কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই সময়ের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং।

Manual5 Ad Code

Moon

Manual1 Ad Code

এই চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনার জন্যে দরকার ভারবহনে সক্ষম বিশাল একটি রকেট, যা চাঁদের গমন এবং অবতরণের জন্যে প্রয়োজনীয় বিপুল জিনিস নিয়ে যাবে। নাসা এ জন্যে নিজস্ব একটি লঞ্চার নির্মাণ করেছে, যা স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) নামে পরিচিত। কিন্তু প্রকল্পটির বিলম্ব ঘটছে এবং খরচ বাড়ছে।

ব্রাইডেনস্টাইন প্রকল্প এগিয়ে নেবার জন্যে একটি কম শক্তিশালী বাণিজ্যিক রকেটের কথা ভেবেছিলেন। ২০২০ সালের মধ্যে মনুষ্যবিহীন একটি ক্যাপসুলকে মহাশূন্যে নেবার জন্যে সেটি হতে পারে স্পেস এক্স বা বোয়িং-লকহেড মার্টিন যৌথ অংশীদার ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স দ্বারা নির্মিত রকেট।

কিন্তু মঙ্গলবার ভাইস প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর নাসার পরিচালক বলছেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন আগামী বছরের মধ্যে একটি সফল এসএলএস উৎক্ষেপণ করতে পারবে নাসা। লকহেড মার্টিন নির্মিত অরিয়ন ক্যাপসুল হবে মহাকাশচারীদের চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবার প্রধান মহাকাশযান। তবে এগুলো বানানোর কাজই এখনো শুরু হয়নি।

তবে নাসা যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর জন্য প্রস্তুত হতে না পারে, তাহলে বাণিজ্যিক লঞ্চিং সিস্টেম বা অন্য কোনো সহযোগী সন্ধান করা হবে বলেও জানিয়েছেন মাইক পেন্স।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code