সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি:
যমুনা সার কারখানায় আমদানি করা নি¤œমানের পচাঁ, গলা ও জমাটবাধা সার জোর করে দেয়ার প্রতিবাদে ১৯ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা সার কারখানায় বিদেশ থেকে আমদানি করা পচা সার নিতে অনিহা প্রকাশ করে ডিলাররা সার উত্তেলন ও সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
ডিলার ও জেএফসিএল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যমুনা সার কারখানা থেকে ১৯’শ ডিলারের মাধ্যমে ১৯ জেলায় সার সরবরাহ করে আসছে। কারখানা থেকে ডিলারদের বরাদ্ধের প্রতি ট্রাকে ১২ মে:টন সারের মধ্যে ১০ মে:টন যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত সার এবং ২ মে:টন আমদানি করা নি¤œমানের পচাঁ, গলা ও জমাট বাধা সার জোর করে গছিয়ে দেয়া হত। আমদানি করা সার দেশের কৃষকরা জমিতে ব্যবহারে আগ্রহ না দেখানো কারনে সার বিক্রি না হওয়ায় ডিলাররা লোকসানের মুখে পড়ে। কারখানা কর্তৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ করলেও একটি চক্র ডিলারদের প্রতি ট্রাকে ২ মে:টন পচাগলা ও জমাট বাধা সার জোর করে গছিয়ে দিয়ে মুনাফা লুটছিল। উপায়ান্তর না দেখে আমদানি করা নি¤œমানের পচাঁ, গলা ও জমাটবাধা সার অকার্যকর আখ্যায়িত করে ডিলাররা ওই সার নিতে অনিহা প্রকাশ করার কারনে গত ৪দিন যাবৎ সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সার কারখানায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত মোট ৮৫ হাজার মে:টন সারের মধ্যে আমদানি করা সার ৩৩ হাজার মে:টন সার মজুদ রয়েছে কারখানা সূত্রে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে ড্রাইভার রফিকুল ইসলাম জানান, কারখানা থেকে আমদানি করা সার নিয়ে গেলে ডিলারগন ট্রাক থেকে পচাঁ সার নামাতে দেয় না এবং ভাড়াও দিতে চায় না। এজন্য ডিলারগন আমদানি করা সার না নেয়ায় ৪দিন ধরে সার পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এনিয়ে আমরা বিপাকে আছি।
সার ডিলার আলী আকবর জানান, জেএফসিএল কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আমদানি করা পচা-গলা ও জমাট বাধা সার সরবরাহ অনিহা প্রকাশ করার সত্বেও কারা আমাদের ওপর আমদানি করা ২ মে:টন সার চাপিয়ে দিয়েছে। ওই সার কৃষক ক্রয় করতে মোটেও রাজি নয়। পচাঁ নার বিক্রি না হওয়ায় আমাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। তাই আমরা সার কারখানার সার সরবরাহ বন্ধ রেখেছি।
এ ব্যাপারে সার কারখানার ব্যবস্থাপক বাণিজ্যিক ওয়ায়েছুর রহমান জানান, ডিলারগণ আমদানি করা সার নিতে অনিহা প্রকাশ করে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ রেখেছে।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।