আশ্রয়ন কেন্দ্রে ছুটছে কাউখালীর উপকূলবাসী - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৪:২৪, ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

আশ্রয়ন কেন্দ্রে ছুটছে কাউখালীর উপকূলবাসী

editorbd
প্রকাশিত মে ২৭, ২০২৪
আশ্রয়ন কেন্দ্রে ছুটছে কাউখালীর উপকূলবাসী

oplus_0

ডেস্ক রিপোর্ট: উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে ও নদ নদীতে স্বাভাবিক জোহরের চেয়ে তিন/চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার দুপুর থেকে উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে ধেয়ে আসায় সকাল থেকে কাউখালী উপজেলার ৫টি নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। আবহাওয়া বিভাগ উপকূলীয় জেলা গুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার পর থেকে কাউখালী নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সকাল থেকেই এলাকায় লোকজন ছিল জনশূন্য। উপকূলের দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে। ইতোমধ্যে উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে তার তত্ত্বাবধায়ন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়া, কখনো উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল মোল্লা, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানিয়েছেন, তিনি জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালিন কয়েক হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। সেইসঙ্গে গবাদিপশুও আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসা যাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক ৫শয মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাতের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে ও নদ নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩থেকে৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় পিরোজপুর-স্বরূপকাঠির সড়কের কাউখালীর আমরাজুড়ী ফেরির গ্যাংওয়ে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া পানি উঠে কাউখালীর সোনাকুর ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট আসে পাশে সড়কে হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে। ইতোমধ্যে কাউখালী নৌ বন্দরে বহু জাহাজ এসে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নোঙ্গর করেছে। চিড়াপাড়া পার-সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাইকোজ্জামান মিন্টু জানান, মানুষের ভিতর একটি আতঙ্ক কাজ করছে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা সব সর্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। উপজেলার সুবিদপুর, বেকুটিয়া, আমরাজুড়ী নদীপাড়ের বেশ কয়েকজনের কথা হলে তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে ধেয়ে আসায় তাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ের মধ্যে সময় পার করছেন। সকালে থেকে ঝড়োবা তাস ও মাঝে মধ্যে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছাস হলে তাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে। তবে চুরির ভয়ে সবাইকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সুত্র:এফএনএস ডটকম

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।