ডেস্ক রিপোর্ট:
কখনও নিজের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হলে মানুষের মুখে ফোটে পাপজাতীয় কথা। যদিও আল্লাহ তায়ালা সবসময় বান্দার জন্য চাহিদার দরজা খোলা রেখেছেন। সঙ্গে তার শুকরিয়া আদায়ের দরজাও খোলা থাকে। কিন্তু আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলেই হবে না, প্রয়োজন তার ইবাদত-বন্দেগিতেও নিযুক্ত থাকা। আর এই ইবাদত করতে জমিনকে করে রেখেছেন মুসল্লা (নামাজের স্থান) হিসেবে।
নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত বিধি মোতাবেক অবস্থানরত স্থানে ইবাদত করা বাধ্যতামূলক। সে জন্যই রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘…আর সারা পৃথিবীকে আমার জন্য মসজিদ (নামাজের জায়গা) এবং পবিত্রতার উপকরণ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তির নিকট যে কোনও স্থানে নামাজের সময় এসে উপস্থিত হবে, সে যেন সেখানেই নামাজ পড়ে নেয়।’ (সহিহ বোখারি, হাদিস : ৪৩৮)
অন্য হাদিসে আরও স্পষ্ট করে বর্ণনা করা হয়েছে যে, হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, কবরস্থান ও গোসলখানা ব্যতীত সব (পবিত্র) জায়গাই মসজিদ (সুনান ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৭৪৫)।
উল্লিখিত হাদিস দুটির মর্মার্থে বলা যায়, দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার লক্ষ্যে আবশ্যিক (ফরজ ও ওয়াজিব) ইবাদতের পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে যখন যেখানে প্রয়োজন, ঠিক ওই সময়েই যদি মহান মুনিব আল্লাহকে কেউ ডাকে, সঙ্গে সঙ্গে তিনিও তার ডাকে সাড়া দেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো। নিশ্চয় অহংকারবশে যারা আমার ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সূরা মুমিন, আয়াত : ৬০)
নৈকট্য কিংবা বিপদে বালামুসিবতে স্বীয় অবস্থা শেয়ার করতে প্রয়োজন নিরিবিলি কোনও ইবাদতস্থল। কেননা, অনুনয় ও সংগোপনে ডাকার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের রবকে ডাকো অনুনয় বিনয় করে ও চুপিসারে।’ (সূরা আরাফ, আয়াত : ৫৫)
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।