রেলের ইঞ্জিন-কোচ রপ্তানি ২৫ গুণ করতে চায় ভারত, লক্ষ্য বাংলাদেশ - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:০৪, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

রেলের ইঞ্জিন-কোচ রপ্তানি ২৫ গুণ করতে চায় ভারত, লক্ষ্য বাংলাদেশ

editorbd
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২৪
রেলের ইঞ্জিন-কোচ রপ্তানি ২৫ গুণ করতে চায় ভারত, লক্ষ্য বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক:

আগামী তিন বছরের মধ্যে রেলের ইঞ্জিন তথা লোকোমোটিভ ও কোচ রপ্তানি অন্তত ২৫ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে চায় ভারত। এমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারতীয় রেলওয়ের প্রকৌশল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরআইটিইএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল মিত্তাল বলেছেন, রেলের লোকোমোটিভ ও কোচ রপ্তানির মোট রাজস্ব আয়ের অনুপাত এখন ১ শতাংশের নিচে। কিন্তু আগামী তিন বছরে আমরা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করে সেই স্তরে টিকিয়ে রাখতে চাই।

রাহুল মিত্তাল আরও বলেন, ‘গত ৯-১০ মাসে আমরা ১ হাজার ৩০০ কোটি রুপির ক্রয়াদেশ পেয়েছি (যার বেশির ভাগই রপ্তানি করা হবে)। এটি গত চার-পাঁচ বছরের প্রবণতার থেকে যথেষ্ট বেশি। যেহেতু এই ক্রয়াদেশগুলোর বেশির ভাগই লোকোমোটিভ এবং কোচের সঙ্গে যুক্ত, তাই আগামী অর্থবছর থেকে এই খাতের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আমাদের চিন্তার প্রতিফলন করবে।’

আরআইটিইএস লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলেন, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ নবরত্ন পিএসইউর মূল ফোকাস এখন প্রায় ১২টি আফ্রিকান দেশ; যেমন—দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও মোজাম্বিক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকায়ও পদচিহ্ন রাখতে চায় নবরত্ন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিকশিত ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি এবং আমি মনে করি, আমরা অদূর ভবিষ্যতে রোলিং স্টক তথা রেলওয়ে সংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির ওপর ফোকাস করব।’

এদিকে, ভারতে রেলের কোচ ও লোকোমোটিভ রপ্তানিতে ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশ খানিকটা ধস নেমেছে। এ বিষয়ে মিত্তাল বলেন, প্রথম প্রান্তিকে অবনতি হলেও আমরা চলতি বছরের বাকি অংশে ২০২৪ অর্থবছরের সমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চাই। এ সময় তিনি জানান, তাদের পরামর্শক ব্যবসায় খানিকটা ঘাটতি পড়ায় এই অবনতি হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে আরআইটিইএসের রাজস্ব ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে, যার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৭০ কোটি রুপি। এ বিষয়ে রাহুল মিত্তাল বলেন, ‘ধসের কারণ হলো গুণগত নিশ্চয়তা কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ব্যবসায় ব্যাপক পতন। তবে আমরা নতুন পরামর্শের ক্রয়াদেশ পেয়েছি এবং এর ফলে ২০২৬ অর্থবছর থেকে আমাদের লাভ আসা শুরু হবে। আমরা পরের বছরের এই সময়ের মধ্যে একটি বড় উল্লম্ফন দেখতে পাব।’

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।