তারা তখন কানের ফ্লাওয়ার - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৩:৩৬, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

তারা তখন কানের ফ্লাওয়ার

newsup
প্রকাশিত মে ২২, ২০২৩
তারা তখন কানের ফ্লাওয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট: সব ছাপিয়ে গেল দুই দিন ধরে কানজুড়ে চলছে ‌‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’-এর প্রশংসা। লালগালিচা, প্রিমিয়ার এবং সংবাদ সম্মেলন পেরিয়ে সাগরপাড়ের শহরটির মূল সড়কে মিলেছে সেই প্রতিচ্ছবি।

সেদিকে যাওয়ার আগে বলা দরকার, ছবিটি পরিচালনা করেছেন অস্কারজয়ী নির্মাতা মার্টিন স্করসেসি। এতে অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেক অস্কারজয়ী লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তাদের নতুন কাজটিকে ঘিরে কানসৈকত হয়ে এখন প্রায় গোটা বিশ্বেই চলছে প্রশংসার উচ্ছ্বাস। কারণ, এটি নির্মিত হয়েছে ১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় ঘটে যাওয়া একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে। যেখানে মূলত উপজাতি-আদিবাসী তথা ইন্ডিজেনাস পিপলদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে।

কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ৭৬তম কান উৎসবে প্রতিযোগিতার বাইরে থাকলেও গত সাত দিন প্রদর্শিত ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে (পুরো থিয়েটারের দর্শকরা দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে অভিবাদন জানানো)। ছবিটি প্রদর্শনের পর মার্টিন, লিওনার্দো, নিরো ও লিলিরা টানা ৯ মিনিটের স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছেন। কানসূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত এত দীর্ঘ অভিবাদন আর কোনও সিনেমার কলাকুশলীরা পাননি।

উৎসবের পঞ্চম দিন একই উচ্ছ্বাস মিলেছে ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ টিমের লালগালিচা মাড়ানোর সময়। মজার ব্যাপার হলো, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বরাবরই কানের জন্য আকর্ষণীয়। তবে এবার তাকেও ছাপিয়ে গেছে ছবিটির গল্প।

২০১৭ সালে প্রকাশিত আমেরিকান কথাসাহিত্যিক ডেভিড গ্রানের জনপ্রিয় গ্রন্থ ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন: দ্য ওসেজ মার্ডারস অ্যান্ড দ্য বার্থ অব দ্য এফবিআই’ অবলম্বনে সাজানো হয়েছে তিন ঘণ্টা ২৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবিটি। ১৯২০ শতকের আমেরিকান রাজ্য ওকলাহোমায় তেল আবিষ্কারের পর রহস্যজনকভাবে ওসেজ উপজাতির একের পর এক সদস্যের নৃশংসভাবে খুন হওয়াকে কেন্দ্র করে এর গল্প। যেমনটা ঘটেছিল মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে, যারা বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে।

বিভিন্ন সময় এমন জাতিগত বৈষম্য বা বিদ্বেষ যে আদিম ও বৈশ্বিক, সেটি যেন মনে করিয়ে দিলো মার্টিন স্করসেসির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’। সেজন্যই কানের পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবন যখন ছবিটির গল্পে সরগরম, তখন শহরটির রাস্তায় দেখা মিললো বর্ণিল পোশাক পরা কিছু মানুষকে। যেন ’ফ্লাওয়ার’ (ফুল) হয়ে ঘুরছেন!

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।