“এম.সি কলেজের প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবী মূল আসামীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র।”__শফীউল আলম চৌধুরী নাদেল। “পদত্যাগ নয় প্রতিহিংসা”_প্রফেসর সালেহ আহমদ – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১:৫০, ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

“এম.সি কলেজের প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবী মূল আসামীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র।”__শফীউল আলম চৌধুরী নাদেল। “পদত্যাগ নয় প্রতিহিংসা”_প্রফেসর সালেহ আহমদ

প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
“এম.সি কলেজের প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবী মূল আসামীদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র।”__শফীউল আলম চৌধুরী নাদেল। “পদত্যাগ নয় প্রতিহিংসা”_প্রফেসর সালেহ আহমদ

Manual2 Ad Code

 স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর এম সি কলেজের হোস্টেলে গৃহবধূ ধর্ষনের ঘটনায় উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ ও হোস্টেল সুপার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এর পদত্যাগ দাবী করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহ ছাত্রলীগের একাংশ।এরই প্রেক্ষিতে তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আহবান করেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এম সি কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কোন দায় ছিল কিনা তা নিয়ে গনমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসে।

 

এ ব্যাপারে এম সি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, “কিছু লোক এম. সি কলেজের খেলার মাঠ কোরবানির পশুর হাটের জন্য ব্যবহার করার জন্য চেষ্টা করেন।আমি অনুমতি না দেওয়ায় অনেক দিন থেকে মতবিরোধের জের ধরে যারা সুবিধা নিতে পারেন নি তারা এই দাবি করতে পারেন বলে আমি মনে করি।”

Manual6 Ad Code

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-এর সাথে যোগাযোগ করা হয়।

Manual1 Ad Code

২৫ শে সেপ্টেম্বরের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন “একটি প্রতিষ্টান বন্ধ থাকাবস্থায় কলেজ হোস্টেলে কেউ কিভাবে অবস্থান করে?এর দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ কখনই এড়িয়ে যেতে পারবে না।”

Manual3 Ad Code

একই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ বলেন, “অনেক দিন থেকে হোস্টেলের সীমানা প্রাচীর ভাংগা থাকায়,কখন কে হোস্টেলে ঢুকছে বের হচ্ছে তা তদারকি করা কঠিন ব্যাপার।রাতের আঁধারে কেউ কলেজ হোস্টেলে ঢুকে থাকলে তা দেখাশুনা করা মোটেও সহজ বিষয় নয়।”

এম. সি কলেজের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম জড়িত থাকার ব্যাপারে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যেহেতু ছাত্রলীগের জেলা ও মহানগরের কমিটি অনেক দিন থেকেই নেই সেহেতু ছাত্রলীগের নাম এরকম ঘটনায় সরাসরি জড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত প্রশ্ন আসে।”

কলেজ হোস্টেল জ্বালানো সহ এরকম আরো ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের নাম আগেও জড়িত ছিল এবং এই বিষয় গুলোতে ছাত্রলীগের নাম জড়িত থাকায় এর দায়ভার কি কোন ভাবেই আওয়ামীলীগের উপর পড়ে না?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ আওয়ামিলীগ এর একটি অংগ সংগঠন।ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটি আছে।তারা বিষয় গুলো নিয়ে ভাববে।এর দায়ভার আওয়ামিলীগ এর উপর পড়বে না।আর এরকম ঘটনার জের ধরে কিছু বিপথগামীর জন্য আওয়ামিলীগের মত দলের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়াও যুক্তিসঙ্গত নয়।”

এম.সি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের বিষয়ে উনার মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই মুহুর্তে অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করা মূল আসামীদের আড়াল করার এক ষড়যন্ত্র।”

Manual4 Ad Code

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, “কোন দুর্বৃত্তের স্থান আওয়ামীলীগ অথবা ছাত্রলীগে আর হবে না।”
তিনি আরো জানান, “অধ্যক্ষ মহোদয়ের পদত্যাগ দাবি করা এক অনভিপ্রেত।উনি ভালো ভাবেই প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি নির্যাতনকারী দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, “বিগত বদরুলের ঘটনায় সিলেটবাসী যে ঐক্য দেখিয়েছিলেন এরই ধারাবাহিকতায় আজ সিলেট আইনজীবীরা যা দেখিয়েছেন তা এক অনুকরণীয় উদাহরণ।” পরিশেষে তিনি বলেন “দোষীদের এমন শাস্তি দেওয়া হোক যেন তা নজির হয়ে থাকে আগামীর বাংলাদেশে।আমাদের মাথায় রাখতে হবে বংগবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা কখনও অপকর্ম করতে পারে না।”

উল্লেখ্য গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর গৃহবধূকে স্বামীর উপস্থিতিতে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে ছাত্রলীগের কিছু নেতা।তাদের গ্রেফতার করে আজ সোমবার কোর্টে সোপর্দ করে পুলিশ।তাদের পক্ষে কোন আইনজীবী কোর্টে দাড়াননি।এবং সিলেট মেট্রোপলিটন কোর্ট দুই মামলার প্রধান আসামী সাইফুর ও অর্জুনকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আসামীদের তিন জন নিজেদের নির্দোষ দাবী করে কোর্টের কাছে সময় চেয়েছেন বলে জানা যায়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code