শাবিতে শুরু হয়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম, আন্দোলন অব্যাহত - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৮:০৮, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

শাবিতে শুরু হয়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম, আন্দোলন অব্যাহত

newsup
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩১, ২০২২
শাবিতে শুরু হয়েছে দাপ্তরিক কার্যক্রম, আন্দোলন অব্যাহত

নিউজ ডেস্কঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) রবিবার থেকে পুণরায় দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ‘গীতি আলেখ্য’ নামক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। অন্যান্য দিনের ধারাবাহিকতায় এদিন সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে গানে গানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই প্রতিবাদে শাহ আব্দুল করিম, রাধারমণ দত্তের গান গায় তারা। এ সব গানের মধ্যে মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও ঘটনা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা আন্দোলনের ভাষা পরিবর্তন করেছেন। তবে যতদিন পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ বা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাচ্ছেন না ততোদিন পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রবিবার প্রায় দুই সপ্তাহ পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। তবে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি। গত ১৬ তারিখ রাতে জরুরি সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এই ঘোষণা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে দুই সপ্তাহ ক্যাম্পাসের দাপ্তরিক কাজ বন্ধের পর বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন পরে রবিবার থেকে আবারও দাপ্তরিক কাজ শুরু হয়

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেছি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সঠিক সময়ে যেনো বেতন-ভাতা পায়, তাই আমরা দাপ্তরিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। তবে উপাচার্য অফিসে আসেননি, উনি উনার বাসভবনে আছেন।’

তাছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ের চলমান ঘটনা এবং ভর্তি কমিটির বেশ কয়েকজন করোনা পজিটিভ হওয়ায় ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে। গত ২২ জানুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা এ কার্যক্রম। এ বিষয়ে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল হোসাইনি বলেন, ‘আমরা দুই একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিব।’

উল্লেখ্য, শা‌বিপ্রবির শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়।

পরদিন ১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে অনশন শুরু করেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কয়েকবার চেষ্টা করেও অনশন ভাঙ্গাতে পারেননি। তবে গত ২৬ জানুয়ারি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে ১৬৩ ঘণ্টার অনশন ভাঙ্গেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।