কানাডার নির্বাচনে ভারত-পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ, কিন্তু কীভাবে ও কেন? - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, রাত ৯:০৩, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

কানাডার নির্বাচনে ভারত-পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ, কিন্তু কীভাবে ও কেন?

newsup
প্রকাশিত এপ্রিল ৮, ২০২৪
কানাডার নির্বাচনে ভারত-পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ, কিন্তু কীভাবে ও কেন?

নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ ও ২০২১ সালে কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে ভারত ও পাকিস্তান ‘হস্তক্ষেপ’ করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলেছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের নির্বাচনে চীন, ভারত ও রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের তদন্তকারী ফেডারেল কমিশন অব ইনকোয়ারির অংশ হিসেবে এই হস্তক্ষেপের দাবি করে একটি সারাংশ জমা দিয়েছে। এছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই নথি অনুসারে, কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। কানাডার রিপোর্ট মোতাবেক, ২০২১ সালে সেদেশে নির্বাচনের সময় কানাডার কয়েকটি প্রদেশকে টার্গেট করে নয়াদিল্লি। যে প্রদেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা বসবাস করেন।

নয়াদিল্লির ধারণা, এইসব প্রদেশের ভোটাররা খলিস্তানিদের সমর্থক এবং পাকিস্তানপন্থি। সেই জন্যই ভারত সরকারের প্রক্সি এজেন্ট বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন করেছে এই প্রদেশগুলোতে। যাতে কানাডার নির্বাচনে দিল্লিপন্থি প্রার্থীরা জিতে যায়।

একইভাবে দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে কানাডায় পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তারা সেদেশের সরকারের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কানাডার ফেডারেল রাজনীতিকে গোপনে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কানাডার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ আমরা নাকচ করছি। অন্য দেশের নির্বাচনে নাক গলানো ভারত সরকারের নীতি নয়।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও ভারত এই দাবিগুলি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তারপরও বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে কানাডার তদন্ত দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের জুনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দেশটিতে থাকা খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যেকার সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে যায়।

ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলিকে অযৌক্তিক বলে প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা সাময়িক স্থগিত করা এবং কূটনৈতিক উপস্থিতি হ্রাস-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় ট্রুডোর দেশ। ফেব্রুয়ারি মাসে চীন ও রাশিয়ার পাশাপাশি কানাডিয়ান গোয়েন্দাদের ‘বিদেশি হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করার পর দুই দেশের কূটনৈতিক ফাটল আরও তীব্র হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।