বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১:২৮, ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা

Manual3 Ad Code

 

Manual3 Ad Code

মাহবুবুজ্জামান সেতু,নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মান্দায় বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি অংশ লাঠি খেলা। ঐতিহ্যবাহী এই খেলাটি এখনো বেশ জনপ্রিয়। আবহমানকাল ধরে নওগাঁ জেলায় এক সময় বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে লাঠি খেলা। কিন্তু কালের বিবর্তণে মানুষ আজ ভুলতে বসেছে এই খেলাটি। ঢোল আর লাঠির তালে তালে নাচা নাচি। অন্য দিকে প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল অবলম্বনের প্রচেষ্টা সম্বলিত টান টান উত্তেজনার একটি খেলার নাম লাঠি খেলা।

Manual6 Ad Code

লাঠি খেলা অনুশীলনকারীকে লাঠিয়াল বলা হয়। এই খেলার জন্য লাঠি সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট লম্বা, তবে প্রায় তৈলাক্ত হয়। প্রত্যেক খেলোয়ার তাদের নিজ নিজ লাঠি দিয়ে রণকৌশল প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য,এই এলাকার মানুষদের সংস্কৃতি এটি। অত্র এলাকার মানুষ ভিন্নধর্মী আনন্দ বিনোদন পেতে এই গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলার আয়োজন করে থাকে।

গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তাদের নৈমিত্তিক জীবনের উৎসব-বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, অন্নপ্রাশন ইত্যাদি উপলক্ষে লাঠি খেলার আয়োজন করে থাকেন। এক্ষেত্রে সাধারণত কোনও লাঠিয়াল দলকে ভাড়া করে আনা হয়।

Manual4 Ad Code

বিগত দশকেও গ্রামাঞ্চলের লাঠি খেলা বেশ আনন্দের খোরাক জুগিয়েছে। সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিল এ খেলাটি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত এই খেলা দেখার জন্য।বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মধ্যে এই খেলা দেখা গেলেও তা খুবই সীমিত। এ খেলাটি দিন দিন বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়ার সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে না কোন নতুন খেলোয়ার।

গনেশপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান হানিফ উদ্দিন মন্ডল জানান, দেশীয় সংস্কৃতি ধরে রাখতে বর্তমান সরকার বেশ আন্তরিক। তবে শুধু সরকার নয় সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা এবং তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। সেইসাথে এ ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এ খেলাগুলো চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলেও তিনি মনে করেন।

Manual8 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code