আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত বন্ধে মিসরের শার্ম এল-শেইখে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফাত্তাহ এল-সিসি। কায়রোতে এক আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি জানান, আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে বড় একটি ধাপ হতে পারে।
বুধবার, ৮ অক্টোবর, রাজধানী কায়রোতে পুলিশ কর্মকর্তাদের স্নাতক অনুষ্ঠান চলাকালে প্রেসিডেন্ট সিসি বলেন, “গতকাল কাতার, মিসর এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা শার্ম এল-শেইখে পৌঁছেছে। আর আমি আলোচনাস্থল থেকে যে খবর পাচ্ছি এগুলো খুব আশা জাগানিয়া।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় সংঘর্ষ থামাতে মিসর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকাও প্রশংসা করেন সিসি।
“একটি যুদ্ধবিরতি, বন্দি ও আটকের ফিরিয়ে আনা, গাজা পুনর্গঠন এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করবে; এটির অর্থ হলো আমরা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার সঠিক পথে রয়েছি,” বলেন তিনি।
সিসি আরও জানান, যদি চলমান আলোচনা সফলভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছায়, তবে সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিজে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করতে মিসরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত তিন দিন ধরে মিসরের মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনা ইতিবাচক গতিতে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস নিশ্চিত করেছে, তারা ইসরায়েলের কাছে ফিলিস্তিনি বন্দিদের একটি তালিকা হস্তান্তর করেছে। এতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা শীর্ষ ফিলিস্তিনি নেতা মারওয়ান বারগোতিসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি ২০ দফা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। গত শুক্রবার হামাস এই প্রস্তাবে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি জানায়। এরপর সোমবার থেকে মিসরে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। এতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নিচ্ছেন। উপস্থিত রয়েছেন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।