বিশ্বখ্যাত ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ডা. জাকির নায়েক আগামী ২৮ নভেম্বর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে দুইদিনের সফরে এসে একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা আছে তার।
জাকির নায়েকের সম্ভাব্য এই ঢাকা সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। এর জবাবে জয়সওয়াল প্রত্যাশা করে বলেন, “বাংলাদেশ জাকির নায়েককে গ্রেপ্তার করে ভারতের হাতে তুলে দেবে।”
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই ও সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ-এর পৃথক প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উঠলে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালে বলেন, জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি। তিনি ভারতে ওয়ান্টেড। তো আমরা আশা করি, তিনি যে দেশেই যান, ওই দেশ আমাদের নিরাপত্তা উদ্বেগকে বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করছে স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। গত ১২ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার আলী রাজ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ অথবা ২৯ নভেম্বর ঢাকায় ডা. জাকির নায়েকের প্রথম প্রোগ্রামটি হবে। তবে কেবল ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরেও এই প্রোগ্রাম করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের রোষানলে পড়ে ২০১৬ সালে নিজ দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান জাকির নায়েক। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তিনি। ওই বছর তার পিস টিভির সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো এবং অর্থপাচারের অভিযোগ আনে মোদি সরকার। পরে ২০১৬ সালে ঢাকায় হোলি হার্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর জাকির নায়েকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাংলাদেশের তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারও। এরপর গত বছর তার পতন হলে আলোচিত এ ইসলামিক স্কলারের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। এখন তার ঢাকায় আসার সম্ভাবনা তৈরির পর ভারত আশা করছে, জাকির নায়েককে তাদের হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার; প্রকারান্তরে যেন তাকে গ্রেপ্তারের আহ্বানই জানালো মোদি সরকার।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।