বিষণ্নতার কারণে কি হৃদ্‌রোগ হতে পারে? - BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৫:০৭, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ


 

বিষণ্নতার কারণে কি হৃদ্‌রোগ হতে পারে?

newsup
প্রকাশিত এপ্রিল ২৫, ২০২৪
বিষণ্নতার কারণে কি হৃদ্‌রোগ হতে পারে?

বিষণ্নতার কারণেও হৃদ্‌রোগ হতে পারে

নিউজ ডেস্ক: ১৯৯০ সাল থেকে মনে করা হচ্ছে বিষণ্নতার সঙ্গে হৃদ্‌রোগের সম্পর্ক আছে। কিন্তু এ বিষয়ে তেমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছিল না এত দিন। এবার নতুন এক গবেষণায় একই জিন মডিউলের কারণে মানুষের বিষণ্নতা ও হৃদ্‌রোগের মধ্যে সম্পর্কের রহস্য খুঁজে পাওয়া গেছে। ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকিয়াট্রি জার্নালে এই আবিষ্কার নিয়ে একটি নিবন্ধও প্রকাশ করা হয়েছে।

ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিনিশা হামাল মিশরা বলেন, ‘আমরা বিষণ্নতা ও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের জিন পর্যবেক্ষণ করেছি। গবেষণায় একটি একক জিন মডিউলে ২৫৬টি জিন পাওয়া গেছে, যাদের মাত্রা কম বা বেশি হলে দুটি রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। ৩৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ৮৯৯ জন নারী ও পুরুষের রক্তের জিন এক্সপ্রেশন প্রোফাইলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণা চলাকালে ইয়াং ফিনস নামের একটি গবেষণার তথ্যও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ইয়াং ফিনস কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ফিনল্যান্ডবাসীর হৃদ্‌রোগের ঝুঁকির কারণ নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।

গবেষণায় ২২টি স্বতন্ত্র জিন মডিউল শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি জিন মডিউল বিশ্লেষণ করে মানুষের বিষণ্নতা ও হৃদ্‌রোগের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিনিশা হামাল মিশরা বলেন, হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিশেষ একটি জিন মডিউলের হার বেশি; আর যাঁদের হৃদ্‌রোগ আছে, তাঁদের সেই মডিউলের হার কম। সেই জিন মডিউল দুটি রোগের ক্ষেত্রে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জিন মডিউলেরই শীর্ষ তিনটি জিন নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ বা স্নায়ুসংক্রান্ত রোগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডার ও বিষণ্নতার সঙ্গে যুক্ত বলে বেশ আলোচিত। এই মডিউলের বিভিন্ন জিন জৈবিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখায় বলা যায় উভয় রোগ প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যায়। জিন মডিউলটির রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বিষণ্নতা ও হৃদ্‌রোগ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

উল্লেখ্য, বিষণ্নতা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা নিলে পরবর্তী সময়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অর্ধেকে কমিয়ে আনা যায় বলে মনে করেন অনেক চিকিৎসক। আর তাই আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন হৃদ্‌রোগের জন্য হতাশাগ্রস্ত কিশোর-কিশোরীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।