পরিবারের সদস্যদের অসহযোগিতা আর অভাব অনটনে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দুনিয়ার মায়া ছাড়লেন যোগমায়া – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, বিকাল ৩:২২, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

পরিবারের সদস্যদের অসহযোগিতা আর অভাব অনটনে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দুনিয়ার মায়া ছাড়লেন যোগমায়া

newsup
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
পরিবারের সদস্যদের অসহযোগিতা আর অভাব অনটনে প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে দুনিয়ার মায়া ছাড়লেন যোগমায়া

Manual5 Ad Code

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া

কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে আরাধনার আয়োজন। আনন্দের বন্যায় বাসছে সনাতন ধর্মালম্বীরা মা দুর্গার আগমনে। কিন্তু সেই আনন্দ নেই হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও যোগ মায়া দাসের ঘরে।

Manual1 Ad Code

আনন্দের পরিবর্তে এলাকায় বইছে এখন শোকের মাতম। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মা যোগমায়া দাসের অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার ঘটনায় স্তব্ধ এখন পুরো মাধবপুর।

Manual4 Ad Code

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এএমএম সাজিদুর রহমান এ ঘটনায় শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মাধবপুর সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আজিজুর রহমান। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ-উল্লা।

দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনেই অভাবের কাছে পরাজিত হয়ে প্রতিবন্ধী ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন এক হিন্দু মা। মর্মান্তিক এ ঘটনা সোমবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামে বিষপানে আত্মহত্যা করেন যোগমায়া দাস (৭২) ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে পলাশ দাস (২৯)।

প্রতিবেশীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিলেটে রেফার করেন। তবে সিলেটে নেওয়ার পথে পলাশ মারা যান। অন্যদিকে যোগমায়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Manual1 Ad Code

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে যোগমায়ার স্বামী প্রফুল্ল দাস মারা যান। এরপর থেকেই অভাব-অনটনে জর্জরিত হয়ে পড়েন মা-ছেলে। প্রফুল্ল দাসের পাঁচ ছেলের মধ্যে চারজন আলাদা পরিবার নিয়ে থাকায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে একা বসবাস করছিলেন যোগমায়া। দীর্ঘদিন ধরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। একাকিত্ব, হতাশা ও অর্থকষ্টের কারণেই এ মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোয়ালনগর গ্রামের ইউপি সদস্য আবিদ মিয়া বলেন, “অভাব-অনটনের কারণেই মা-ছেলে এ পথ বেছে নিয়েছেন। আসলে তারা দীর্ঘদিন ধরেই দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছিলেন।”

মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ-উল্লা জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিষপানের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Manual4 Ad Code

উল্লেখ্য, ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে কেন পরিবারের সদস্যরা মা এবং প্রতিবন্ধী ভাইয়ের দায়িত্ব নিলো না । কি কারনে করলো অসহযোগিতা তা খতিয়ে দেখা এখন সচেতন মহলের সময়ের দাবি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code