মার্চ মাসে খুন ১২০, আত্মহত্যা ৫১
৩০ মার্চ ২০১৭, ০৪:২৭ অপরাহ্ণ

রাজধানীসহ সারাদেশে গত মার্চ মাসে ১২০ জন খুন, ৫১ জন আত্মহত্যা, ৩০ শিশু হত্যা এবং ক্রসফায়ারে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জরিপে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১ জন। এদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব, প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, রাগ ও যৌন হয়রানি, পরীক্ষায় খারাপ ফল, এমনকি পছন্দের পোশাক কিনতে না পারার কারণেও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ঢাকা বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
ক্রস ফায়ারে নিহত
মার্চ মাসে ক্রসফায়ারে মৃত্যু হয় ২১ জনের, এর মধ্যে পুলিশের হাতে নিহত হয় ১৮ জন এবং র্যাবের হাতে নিহত ৩ জন।
ধর্ষণ
মার্চ মাসে মোট ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৫ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে শিশু ২২ জন। ১৬ জন নারী। ৭ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের পর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয় বরিশালে।
খুন
মার্চ মাসে দেশে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন ১২০ জন। খাগড়াছড়িতে ইতি চাকমা নামে এক কলেজছাত্রীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। মেহেরপুরে চাঁদা না পেয়ে দুই ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
শিশুহত্যা
মার্চ মাসে ৩০ শিশুকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে বাবা-মা দ্বারা খুন হয় ৪ শিশু। বরিশালে এনজিওর টাকা শোধ করতে না পারায় ৯ মাসের শিশুকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মা। নারায়ণগঞ্জে চুরির অপবাদ দিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
সামাজিক অসন্তোষ
সামাজিক অসন্তোষের শিকার হয়ে এ মাসে নিহত হয়েছেন ১৫ জন! আহত হয়েছেন ৫০৫ জন। সামাজিক সহিংসতায় আহত ও নিহতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর খিলক্ষেতে চা পানকে কেন্দ্র করে যুবককে হত্যা করা হয়। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন এক মুক্তিযোদ্ধা।
অন্যান্য সহিংসতা
মার্চ মাসে ১ জন এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়। মাদকের প্রভাবে বিভিন্নভাবে নিহতের সংখ্যা ৫ জন, আহত হয় ১৫ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় এ মাসে নিহত ১৯৪ জন ও আহত ২৯৯ জন। তাছাড়া পানিতে ডুবে, অসাবধানতাবশত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেছে ৯৬ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয় ৮, আহত হয় ২ জন। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় ১ জনের। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমন অভিযানের নামে গ্রেফতার করা হয় ৫০৭ জনকে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা মনে করে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে একদিকে যেমন দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে অন্যদিকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গিকার তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।