বিলুপ্তির পথে পোরশার খেজুর পাটি – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ২:৫৮, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

বিলুপ্তির পথে পোরশার খেজুর পাটি

প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০২০
বিলুপ্তির পথে পোরশার খেজুর পাটি

Manual3 Ad Code

এম রইচ উদ্দিন, পোরশা(নওগাঁ)সংবাদদাতা:
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি হাতে তৈরি খেজুর পাটি নওগাঁর পোরশায় আর দেখা যায় না। এক সময় এ এলাকার মানুষের কাছে খেজুর পাটির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সময়ের বিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে। আশির দশকে খেজুর পাটি উপজেলার সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার হতো। খেজুর পাটিতে ধান শুকানোর কাজ করতো অনেকে। আদিবাসী নারী-পুরুষরা বৃষ্টি বাদলে ছাতার বদলে খেজুর পাটির তৈরী ঘোমটা বৃষ্টি আটকানো ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত। বর্তমান আধুনিকতায় মানুষের জীবন মানের পরিবর্তনের ফলে খেজুর পাটি হারিয়ে গেছে। মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য্য উপকরন ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটির স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক শীতলপাটি, নলপাটি, পেপসি পাটি, বিভিন্ন ধরনের চট ও কার্পেট, মোটা পলিথিন সহ নানা রকমের উপকরন। এই উপকরন গুলো সহজেই বাজারে পাওয়া যাওয়ায় মানুষ খেজুর পাটির পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরন ব্যবহারে দিন দিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে খেজুর পাটির কদর। খেজুর পাটির চাহিদা কমে গেলেও উপজেলার আদিবাসী গ্রাম মধুপুর, মঠবাড়ি, কাঠপুকুর, সরাইগাছি সহ বিভিন্ন গ্রামে বসবাসরত আদিবাসী নারীরা আজও অবসর সময়ে খেজুর পাটি তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটিকে তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আজও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এব্যাপারে কথা হয় সরাইগাছি আদিবাসী পাড়ার সেনচেরি পাহান, আলোমতি পাহান, বিশোমনি, জলেশ্বরী ও জিরুয়া পাহান জানান, আগের মতো আর খেজুর গাছও নেই, খেজুরের পাতাও পাওয়া যায় না। ফলে পাটি তৈরীর প্রধান উপকরন খেজুর পাতার অভাবে খেজুর পাটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ পাটি তৈরীকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন খেজুর গাছ ও পাতা। সরকারের বন বিভাগ খেজুর গাছ লাগানোর জন্য জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খেজুর গাছ রক্ষা পাবে। অপর দিকে পাটি তৈরীর সাথে জড়িত আদিবাসী ও অন্যান্যরা এ পাটি ব্যবহার সহ বিক্রি করে কর্মস্থানের সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
দূর্গম এলাকায় মাছের চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন মৎস্য পুকুর বৃদ্ধিকরণ
স্মৃতিবিন্দু চাকমা
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই লেক মাছের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এসব মাছ খেতে পাইনা দূর্গম এলাকার মানুষ। নেই প্রয়োজনমত মৎস্য পুকুর,অনেকের মাছ খেতে ইচ্ছা করলে বঞ্চিত থাকেন। মাঝে মধ্যে এসব এলাকায় হাঁটে পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছ। মাছের চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে প্রয়োজন মৎস্য পুকুর বৃদ্ধি করণ।
তাই গত ১৬ ই ডিসেম্বর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি চাকমা সহ বেশ কয়েকজন সরকারি বিভাগের কর্মকর্তাগণ মৈদং এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা সফর করেন। সফরের সময় যাদের নিজস্ব অর্থায়নে করা মৎস্য পুকুর রয়েছে সেগুলো পরিদর্শন এবং তাদেরকে পরামর্শমূলক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবুও এবস পুকুর দিয়ে উক্ত এলাকা জনগণের কখনো মাছের চাহিদা পুরণ হবেনা,তাই মৎস্য পুকুর আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে এলাকার জনসাধরণকে উৎসাহি হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
যোগাযোগের সুব্যবস্থা না থাকায় এসব দূর্গম এলাকায় মাছের পোনা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সম্ভবহীন হয়ে থাকে, তবুও যাদের পুকুর রয়েছে তাদেরকে মৎস্য বাঁধগুলো সংস্কার করার লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাবেন বলে জানান মৃনাল কান্তি চাকমা।
তিনি আরো জানান,বর্তমান সরকার মৎস্যচাষ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের কয়েকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,ঐসব প্রকল্পগুলো কার্যক্রম শুরু হলে দূর্গম এলাকায় সরকারি অর্থায়নে কিছু পুকুর বৃদ্ধিকরণ করা যাবে এমনতাই আশা প্রকাশ করেন।
সফরকালে উক্ত এলাকার জনসাধরণ এসব কর্মকর্তাদের পরামর্শমূলক দিক নির্দেশনা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে একজন মৈদং ইউনিয়নের মুগাছড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হরিসচন্দ্র চাকমা তার নিজস্ব অর্থায়ন ৪লক্ষ টাকা ব্যায়ে করা পুকুরে বর্তমানে প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ২ কেজি মত রয়েছে। এবছর বর্ষার ঝিড়িঁর পানির বৃদ্ধি কারণে তার বাঁধটি কিছুতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাঁধটি সরকারিভাবে সংস্কার করা হলে ভবিষ্যতে তার পুকুর থেকে মৈদং এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় মাছের চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code