অনলাইন ডেস্ক:
ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠী নিশ্চিত করেছে, রাজধানী সানায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাবী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় তিনি ও কয়েকজন মন্ত্রী প্রাণ হারান বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হুতিরা।
হুতিদের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আল-রাহাবী ও হুতি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সানায় একটি কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সময় ইসরায়েলের বিমান হামলার শিকার হন। তবে কতজন মন্ত্রী নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তারা জানায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার সানায় একটি হুতি সন্ত্রাসীদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
https://banglanewsus.com/?p=237852
তবে হুতি প্রেসিডেন্সি বলছে, এ হামলায় সরকারের কাজ ব্যাহত হবে না। তারা আরও জানায়, ‘এই পথে চলতে, শহীদদের রক্ত হবে আমাদের শক্তি ও অনুপ্রেরণা।’ হুতিরা এর আগেও ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা তাদের সামরিক অভিযান থামাতে পারবে না। বুধবার গোষ্ঠীটি দক্ষিণ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করে, যদিও ইসরায়েল জানায় তা আটকানো হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হুতিদের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করছে ইসরায়েল। কারণ হুতিরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েল ও লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে পশ্চিমা জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে ২৪ আগস্ট ইসরায়েলের আরেক দফা হামলায় সানায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ৯০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সেদিন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল, তারা হুতি সামরিক ঘাঁটি ও প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
আল জাজিরার বিশ্লেষক হামদাহ সালহুত জানিয়েছেন, ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে যে, তারা হুতিদের সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত যেকোনো স্থাপনায় আঘাত করবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আগেই বলেন, শুধু ঘাঁটিতে হামলা যথেষ্ট নয়। হুতিদের নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করা দরকার। এর আগে হিজবুল্লাহ, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের নেতাদের যেভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
ডেস্ক: এস
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।