হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাই বার বার টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল। ব্যবসায়ী রুমেল হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আল আমিন ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী।
জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হবিগঞ্জ শহরসহ সর্বত্র শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান এক প্রতারক প্রকৃতির লোক। সে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভয়ভীতিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান পূর্ব পরিচয় থাকার সুবাদে তেতৈয়া এলাকায় একটি বালু মহালে ব্যবসার সাথে ব্যবসায়ী রুমেলকে সম্পৃক্ততা করার প্রলোভন দেয়। আর তার বিনিময়ে সে রুমেলের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবী করে। এতে রাজি হয়ে ওই দিনই ব্যবসায়ী রুমেল তাকে ৭৫ হাজার টাকা দেয়।
পরবর্তীতে একই বছরের ২ মার্চ অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা নেয় ইমরান। কিন্তু টাকা দেয়ার প্রায় মাস খানেক পেরিয়ে গেলেও ইমরান ওই ব্যবসায়ীকে তার বালু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত করেনি। এসময় ওই ব্যবসায়ী তার টাকা ফেরত চাইলে খামখেয়ালীপনা করে সময় কর্তন করতে থাকে ইমরান। এর পর বার বার টাকা চাইলেও জেলা ছাত্রদল সভাপতি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা ও ওই ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এছাড়াও তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল জানান, ‘আমি একজন নিরীহ লোক। সরল বিশ্বাসে ব্যবসার জন্য জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে ব্যবসা তো দূরের কথা এখন আমার আসল টাকাই ফেরত দিচ্ছে না। উল্টো সে নিজেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বলে তার পুলাপাইন দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭১২……৮৬) বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।