ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৩৯, ১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে

প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২০
ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে

Manual3 Ad Code

সম্পাদকীয়: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির নামে চলে অবাধ বাণিজ্য। এটি কি দুর্নীতি নয়? যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের শপথ নেবে, সেখানে ভর্তি হতেই দুর্নীতি দেখতে হচ্ছে তাদের। এ থেকে কী শিক্ষা নেবে তারা! স্কুলে ভর্তির মৌসুমে রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারনির্ধারিত ভর্তি ফি’র বাইরে ‘গলাকাটা’ অর্থ অভিভাবকদের কাছ থেকে আদায় করে বিভিন্ন নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন উন্নয়নের নাম করে অভিভাবকদের কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। অভিভাবকরাও সন্তানকে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে বেশি টাকা দিতে বাধ্য হন। ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানে না কোনো সরকারি নির্দেশনা। প্রতি বছর আড়ালে-আবডালে ভর্তি বাণিজ্য চালিয়ে যায় তারা। ভর্তির সময় বেশি টাকা নেয়ার ব্যাপারে স্কুলগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, ব্যয় বেড়েছে, তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত অর্থ নিতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যয় বেড়েছে বলে সরকার তো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করেছে। তবে ভর্তি বাণিজ্যে সরকারি কলেজের চেয়ে বেসরকারি কলেজগুলো অনেক বেশি এগিয়ে। উপর মহলের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বেসরকারি কলেজগুলো লাগামহীন হয়ে গেছে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান এবার দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে এবং বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি এবং ১০০ টাকা বিলম্ব ভর্তি ফি দিতে হবে। এছাড়া সরকারি কলেজগুলোকে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী ফি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। সব ফি রসিদের মাধ্যমে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভর্তি নীতিমালা না মেনে শিক্ষার্থী ভর্তি করালে সেই কলেজের পাঠদানের অনুমতি বা স্বীকৃতি বাতিলসহ কলেজের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code