ভারত সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৩৭, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

ভারত সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

editor
প্রকাশিত জুলাই ৮, ২০২২
ভারত সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Manual2 Ad Code

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া : ভারত সরকারের অর্থায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বাস্তবায়নাধিন মহানগরের ঐতিহ্যবাহি ধোপাদিঘীর উন্নয়ন কাজ পরিদর্শণ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

শুক্রবার বেলা দুইটায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং সিসিক কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে প্রকল্প পরিদর্শণ করেন। এসময় তিনি ধোপাদিঘীর উন্নয়ন কাজে সাম্প্রতিক সময়ে জেল কতৃপক্ষের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

Manual8 Ad Code

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ধোপাদিঘীকে সংরক্ষণের জন্য ভারতীয় সরকারের অর্থায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই প্রকল্পের কাজ করছে। নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। সিলেট নগরের ঐতিহ্যবাহি এবং অন্যতম বৃহৎ এই দিঘীটি বেদখল হয়ে গিয়েছিল। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এটি উদ্ধার করেছে। আকর্ষনীয় ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী জলাশয় দখল করা পছন্দ করেন না। এখানে বেদখ হওয়া দিঘী উদ্ধার করে ঢাকার হাতিরঝিলের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় সিটি মেয়র, কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ, তারা ভালো কাজ করেছেন। কিছুদিন আগে এলজিআরডি মন্ত্রী, ঢাকাস্থ ভারতের রাষ্ট্রদূত সহ প্রকল্পটি উদ্বোধন করি।’

Manual2 Ad Code

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে পুরাতন জেল রয়েছে। যদিও এখানে কোন কয়েদী থাকে না। জেলটি স্থানান্তর করা হয়েছে। নতুন জেলে পর্যাপ্ত সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে এখানে কেউ থাকে না। বৃটিশ সরকার শহরের মাঝখানে জেল নির্মাণ করতো, মানুষ যাতে জেল দেখে ভয় পায়, আতংকিত হয়।’

Manual4 Ad Code

তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক জেল। কারণ এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারান্তরিন রাখা হয়েছিল। যে কক্ষে তাঁকে রাখা হয়েছিল সেটি আমরা স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই জেলটির ফাঁসির মঞ্চটিও ঐতিহাসিক গুরুত্ববহন করে। এখানে দেশের একমাত্র মহিলা করিমুন্নেছাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। ফলে ঐতিহাসিক কারণে এটিকে আমরা সংরক্ষণ করতে চাই। এছাড়া পুরাতন এই জেলের পুরোটা এলাকায় দৃষ্টিনন্দন উদ্দ্যান করা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।;

মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে ওয়াকওয়েতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ বাতি স্থাপনের কাজ করছে সিসিক। আমি দেখেছি, যেখানে খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে সেখান থেকে জেলের সীমানা প্রাচীর ২০ মিটার দূরে অবস্থিত। আমরা ছোট বেলা থেকে এভাবেই দেখে আসছি। আগে যখণ এখানে কয়েদীরা থাকতো তখনও এই প্রাচীরের বাইরে নতুন কোন প্রাচীর নির্মাণের প্রয়োজন হয়নি। কিন্তু এখানকার জেল কতৃপক্ষ দাবি করছেন, মূল প্রাচীর থেকে ২০ মিটার দূরে এসে আরেকটি সীমানা প্রাচীর তৈরী করবেন। আর এই জন্য তিনি প্রকল্প নিয়েছেন, টাকা-পয়সাও জোগাড় করেছেন। তিনি এমন একটা ভাব দেখাইছেন, যে আরেকটি দেয়াল না হলে উনার কয়েদী চলে যাবে। এক্কেবারে বাতুল! যারা এই প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন তারা বিষয়টি খেয়াল করেননি।’

Manual1 Ad Code

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবো। এখানে নতুন করে প্রাচীর নির্মাণের যে প্রকল্প তারা করেছে সেটা খামাখাই, সরকারের অর্থ নষ্ট করা। প্রকল্প হলে কিছু টাকা কামাই করতে পারবে এই জন্য এর পেছনে লেগে আছে। এটার কোন প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের মেয়র, সিলেটের জেলা প্রশাসকও বলেছেন এটার কোন প্রয়োজন নেই। অমি এই প্রকল্প বন্ধের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্রিট লাইট গুলোর খুঁটি ফেলে দিয়েছেন। এইটা তো ঠিক হয়নি। উনার অপছন্দ হলে কতৃপক্ষকে জানাবেন। এরকম জোরজবর করা ঠিক হয়নি, এটাতো মগের মুল্লুক না। এখানে আইন আছে। জেলও সরকার, সিটি কর্পোরেশনও সরকার। সুতরাং এই ধরণের আচরণতো ঠিক না। আমার বিশ্বস দিঘীর কাজটি চলবে। নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’

পরিদর্শণকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code