ডেস্ক রিপোর্ট
অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে এবার স্থায়ী বসবাস বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির নিয়মে কঠোরতা আনার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ সরকার। আবেদনকারীদের এবার সমাজ ও অর্থনীতিতে তাদের অবদান প্রমাণ করতে হবে। সেই সাথে ইংরেজি ভাষারও দক্ষতা থাকবে হবে।
দেশটিতে স্থায়ী হতে আগ্রহী অভিবাসীদের একটি চাকরি থাকতে হবে, কোনো ধরনের ভাতা দাবি করা যাবে না ও তাদেরকে কমিউনিটি সেবামূলক কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লেবার পার্টির সম্মেলনে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ এ প্রস্তাব তুলে ধরবেন।
ব্রিটেনে বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী পাঁচ বছর দেশটিতে থাকার পর স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি বা ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইনের (আইএলআর) জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নতুন নিয়মে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখা, কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়িত না থাকা এবং সরকারি সুবিধা দাবি না করার শর্ত যুক্ত হতে পারে। সেই সাথে আবেদনকারীদের উচ্চমানের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের রেকর্ড দেখাতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ জানাবেন, এ প্রস্তাবগুলো নিয়ে চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, কট্টর অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকের জনপ্রিয়তা মোকাবিলায় লেবার পার্টির এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে সম্প্রতি প্রস্তাব করেছে, স্থায়ী বসবাসের সুযোগ বাতিল করে তার পরিবর্তে পাঁচ বছরের নবায়নযোগ্য কাজের ভিসা চালু করা উচিত।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রোববার বলেন, রিফর্ম ইউকের গণ-নির্বাসন নীতি ‘বর্ণবাদী’ এবং এটি দেশকে বিভক্ত করে দেবে। তথ্যসূত্র : রয়টার্স।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।