সিলেট অফিস : এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানার অন্তর্ভূক্ত জিঞ্জির শাহ (র.) এর মাজার এলাকায় বড় দুটি জুয়ার বোর্ডে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ‘আইওয়াশ’ অভিযান নিয়ে সচেতন মহলে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জুয়ার মুল হোতারা বার বার থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। ফলে কিছুতেই থামছেনা এসব জুয়অর আসর।
জানা যায়, গত ৬ জুন সিলেটের একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজপোর্টালে এ ‘জিঞ্জির শাহ’র মাজার এলাকায় চলেছে জমজমাট জুয়ার আসর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পর এসএমপিতে তোলপাড় শুরু হয়। এর পর এসএমপির সিনিয়র কর্মকর্তােদের চাপের মুখে রাতে জুয়ার আসরে ‘আইওয়াশ’ অভিযান চালায় থানা পুলিশ। অভিযানে দুটি বড় জুয়ার আসর থেকে মাত্র ২জন জুয়ারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে পর দিন ৭ জুন এসএমপির মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। অভিযানের কয়েক ঘন্টা পর আবারো জমে উঠে এসব জুয়ার আসর।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এসএমপির সিনিয়র কর্মকর্তাদের নির্দেশের পর পুলিশের কিছু অসাধু ও সুবিধাভোগী সদস্যদের যোগসাজসে অভিযানের আগেই খবর পৌঁছে যায় জুয়ারিদের কাছে। ফলে তারা নিরাপদে স্টকে পড়ে।
এদিকে, বড় দুটি জুয়ার আসর থেকে মাত্র ২ জন জুয়ারী গ্রেফতার নিয়ে সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্ধাদের মতে, অভিযানের ঠিক ৩/৪ মিনিট আগেও এই দুই জুয়ার আসরে ৩০/৩৫ জন জুয়ারী খেলছিল। এমনকি আসরের মুল হোতা জামাল ও কাশেম উপস্থিত ছিল। কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়েই তারা নিরাপদে পাশ্ববর্তী একটি ভবনের পিছনে চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার ২/৩ ঘন্টার মধ্যেই আবারো জমে উঠে জুয়ার আসর।
এদিকে, জিঞ্জির শাহর মাজার এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান হলেও রহস্যজনক কারনে ক্বীন ব্রীজের নিচে তাহেরের জুয়ার আসরে কোন অভিযান হয়নি। এনিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুরমার ক্বীন ব্রীজ ও জিঞ্জির শাহ’র মাজার এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ী বলেন, এটি পুলিশের একটি আইওয়াশ অভিযান ছিল। যেকানে এত বড় দুটি জুয়ার আসর থেকে মাত্র ২ জন জুয়ারিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শুধু জুয়ারীদের গ্রেফতার করলে হবেনা, এর মুল হোতাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এসএমপির মুখপাত্র ও এডিসি (এসপি) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, পূন্যভূমি সিলেটে তীর- শিলং- জুয়াসহ যেকোনো বেআইনি অসামাজিক কার্যকলাপ সমূলে বিনাশ এবং এর মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে কার্যকরী ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে এসএমপি প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে সচেতন নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ এবং তথ্যবহুল সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।