ডেস্ক রিপোর্ট : মিশিগান রাজ্যে ড্রাগ-প্রভাবিত চালক শনাক্তে নতুন এক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই আইনে ‘মুখের স্ব্যাব’ পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাগ শনাক্তের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা তুলনামূলক দ্রুত, কার্যকর এবং কম ইনভেসিভ হওয়ায় আইন প্রণেতারা এটিকে একটি সম্ভাবনাময় সমাধান হিসেবে দেখছেন। প্রক্রিয়াটি ব্রেথালাইজারের মতো শ্বাস পরীক্ষার বদলে, চালকের মুখের অভ্যন্তরে একটি স্টেরাইল স্ব্যাব রেখে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এরপর একটি হ্যান্ডহেল্ড যন্ত্রে ওই নমুনা বিশ্লেষণ করা হয় এবং মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। বিলটির প্রস্তাবক, হাউস প্রতিনিধি ও সাবেক শিয়াওয়াসি কাউন্টির শেরিফ ব্রায়ান বিগোল বলেন, “এই পদ্ধতি অনাক্রমণাত্মক, সহজ এবং নির্ভরযোগ্য। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, বিশেষ করে যখন তাদের কাছে পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট কারণ থাকবে।” মিশিগান স্টেট পুলিশ, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড, জাতীয় ড্রাগ-প্রভাবিত ড্রাইভিং প্রতিরোধ সংস্থা এবং এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও এই প্রযুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তাদের মতে, এটি নৈতিক ও সমস্যাহীন উপায়ে ড্রাগ শনাক্তের সুযোগ তৈরি করবে।
তবে সমালোচকরা সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরেছেন। এক আইনজীবীর মতে, “কিছু ড্রাগ যেমন গাঁজা দীর্ঘ সময় ধরে দেহে থেকে যায়; এতে ফলস পজিটিভের আশঙ্কা থাকে।” এক নাগরিক মন্তব্য করেন, “যদি টেস্ট কেবল দেখায় যে কেউ পূর্বে গাঁজা গ্রহণ করেছেন কিন্তু তিনি বর্তমানে প্রভাবিত নন, তাহলে এটি অন্যায় হতে পারে। বর্তমানে মিশিগানে ড্রাগ শনাক্তের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে রক্ত পরীক্ষা ব্যবহৃত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ২৪টি রাজ্যে ইতোমধ্যেই মুখের স্ব্যাব প্রযুক্তি চালু রয়েছে। মিশিগানেও ২০১৯–২০২০ সালে পরিচালিত একটি পাইলট প্রোগ্রামে এই পদ্ধতি ইতিবাচক ফলাফল দেয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি প্রাথমিক শনাক্তকরণের জন্য কার্যকর হলেও ভুল ফলাফল এড়াতে পর্যাপ্ত আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য রক্ত বা ল্যাবভিত্তিক পরীক্ষার ওপরই নির্ভর করা উচিত।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।