ওই কর্মকর্তা জানান, সবকিছুই মনিটরিং করা হচ্ছে। কার কী দায়িত্ব ছিল, কে কী করেছে বা করছে সেগুলো খুবই সিরিয়াসভাবে নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরগুলো নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণের কথা জানিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, কারো কোনো দুর্বলতা বা গোপনীয়তা ফাঁসের ব্যাপারে যে সব খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত বা প্রচারিত হয়েছে সেগুলো যাচাই বাছাই করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোষরদের প্রধান উপদেষ্টার প্রটোকলের দায়িত্ব দেয়ার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তারা তো বটেই, মিশনের কাউকেও একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের হেনস্তার ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার চিত্র দিন দিন স্পষ্ট হওয়ায় মূলত কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এ ধরনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সফর সঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। একই সাথে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবাহী এবং বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত খুঁজে খুঁজে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার প্রটোকলের দায়িত্ব দেয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশি পোশাক
জাতিসংঘ মিশনে ফ্যাসিস্ট আমলে নিয়োগ পাওয়া এবং তাদের যেসব সমর্থক কর্মকর্তারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী, শোয়েব আব্দুল্লাহ এবং মো. নূরুল ইসলামের নাম ঘুরে ফিরে এসেছে। এরা সবাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট কর্মকর্তা। মূলত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র আভাস দিয়েছে।