ডেস্ক রিপোর্ট : নিউইয়র্ক সিটির স্কুল বাস ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠিত বিশেষ কমিশনের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি–আমেরিকান কমিউনিটির সুপরিচিত মুখ শামসুল হক। এডুকেশনাল পলিসি প্যানেলের চেয়ারম্যান গ্রেগ ফকলনার তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন। কমিশনের কাজ হবে দীর্ঘদিন ধরে চলমান নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা—স্কুল বাসের দেরি, ভুল বোঝাবুঝি, আনা–নেওয়ার অনিয়ম এবং অভিভাবকদের নিত্যদিনের ভোগান্তি।বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও কো–ফাউন্ডার শামসুল হক দীর্ঘদিন নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে সুনামের সঙ্গে কাজ করে সম্প্রতি লেফটেন্যান্ট পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। পেশাগত জীবনে সততা ও নিষ্ঠার পরিচয় দেওয়া এই প্রবাসী বাংলাদেশি এখন নিজেকে উৎসর্গ করেছেন জনসংগঠন ও শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমে।
কমিশনের কার্যক্রম শুরু হবে শিক্ষা বিভাগ (ডিওই) এবং এডুকেশনাল পলিসি প্যানেলকে সুস্পষ্ট সুপারিশ দেওয়ার মাধ্যমে। অভিভাবক, শিক্ষক, বাস কোম্পানি, ইউনিয়ন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে একটি কার্যকর ও নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই কমিশনের প্রধান লক্ষ্য।
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের সন্তান শামসুল হক শৈশবে পরিবারের সঙ্গে আমেরিকায় অভিবাসী হন। তিনি নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনকারী এই শিক্ষানুরাগী দুই সন্তানের অভিভাবক। শিক্ষা ও কমিউনিটিভিত্তিক কাজে তাঁর দীর্ঘ সম্পৃক্ততা এবং অভিভাবক হিসেবে বাস্তব অভিজ্ঞতা তাঁকে কমিশনের নেতৃত্বে বিশেষভাবে যোগ্য করে তুলেছে।দায়িত্ব গ্রহণের পর শামসুল হক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সময়মতো এবং নির্ভরযোগ্য পরিবহন নিশ্চিত করা।” পরে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি আরও লেখেন—“বন্ধুরা, আমাকে নিউইয়র্ক সিটির স্কুল বাস ব্যবস্থার উন্নতির জন্য বিশেষ কমিশনের চেয়ার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি কমিশনের সহকর্মী সদস্য, শিক্ষা বিভাগ, অভিভাবক, বাস কোম্পানি, ইউনিয়ন এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করব। আমাদের কাজ শেষে আমরা এডুকেশনাল পলিসি প্যানেলের কাছে সুপারিশ জমা দেব। আপনাদের মতামত ও পরামর্শ আমার জন্য ভীষণ মূল্যবান হবে।”
বাংলাদেশি–আমেরিকান কমিউনিটির জন্য এই দায়িত্ব এক গর্বের বিষয়। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা শুধু অভিভাবক বা শিক্ষকদের নয়, পুরো সমাজেরই দাবি। শামসুল হকের নেতৃত্বে এই কমিশনের কাজ সফল হলে নিউইয়র্ক সিটির অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এক নতুন স্বস্তির অভিজ্ঞতা লাভ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।