দুদকসহ সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট – BANGLANEWSUS.COM
  • নিউইয়র্ক, দুপুর ১২:৪৭, ১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ


 

দুদকসহ সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট

newsup
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২১
দুদকসহ সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট

Manual1 Ad Code

নিউজ ডেস্কঃ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাঁচারের সঙ্গে জড়িত সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) বিদায়ী চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার না করায় দুদকসহ সরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

Manual3 Ad Code

আদালত বলেছে, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে, আছে দুদক, বিএফআইইউ, ডিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারপরও সে কীভাবে দেশ থেকে পালিয়ে গেল। আসামি দেশত্যাগ করে চলে গেল আর আপনারা (সরকারি সংস্থা) নীরব দর্শক হয়ে দেখছেন।

এতগুলো সরকারি সংস্থা থাকতে দুর্নীতিবাজরা কীভাবে দেশত্যাগ করে পালিয়ে যায়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে আসামির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদলতকে অবহিত করতে দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরই এ বিষয়ে আজ আদেশ দেবে হাইকোর্ট।

Manual6 Ad Code

সম্প্রতি হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত এসএম আমজাদ হোসেন দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন মর্মে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন মানিক। এ সময় দুদক কৌসুলি খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন। দুদককে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, আসামিরা কেন এভাবে পালানোর সুযোগ পাবে। দুদক কৌসুলি বলেন, দুদকের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সে কীভাবে চলে গেল। আমরা সবসময় কাজ করছি। আদালত বলেন, আপনারা যদি কাজ করেই থাকেন তাহলে আসামি দেশত্যাগ করল কীভাবে? কাজ করছেন এটা তো মুখে বললেই হবে না। কিন্তু পালানো ঠেকাতে পারছেন না। আইনজীবী বলেন, এটা নিয়ে দুদকের সঙ্গে কথা না বলে কিছু বলতে পারবো না।

হাইকোর্ট বলেন, যদি নিষেধাজ্ঞা থেকেই থাকে তাহলে দেশত্যাগ ঠেকাতে আইনশৃংখলা বাহিনী কি ভূমিকা রাখল। তাকে কেন গ্রেপ্তার করতে পারল না। আদালত বলেন, অর্থ পাঁচার গুরুতর অর্থনৈতিক অপরাধ। এই পাঁচার রোধে এখনই কঠোর অবস্থান নেওয়া উচিত। নইলে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে, আরো যাবে। দেশের টাকা নিয়ে বিদেশে আরাম-আয়েশে বসবাস করবে আর দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজবে সেটা হতে দেওয়া উচিত না। এসব টাকা জনগণের ঘাম ও শ্রমের টাকা। প্রবাসীরা কত কষ্ট করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। আর সেই টাকা যদি এভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যায়, এটা তো গুরুতর বিষয়। দুদকের আইনজীবী বলেন, আসামি আমজাদ ইমিগ্রেশন কীভাবে পার হলো এটা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানা দরকার। ইমিগ্রেশন বলতে পারবে উনি কবে, কখন গেলেন।

Manual2 Ad Code

বিমানে নাকি স্থলপথে গিয়েছেন এটাও জানা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পিকে হালদারের নিষেধাজ্ঞার আদেশ ইমিগ্রেশনের কাছে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। আদালত বলেন, এখনকার যুগে কি তিন ঘণ্টা সময় লাগে আদেশ পৌঁছাতে। কোর্টের আদেশ কমিউনিকেট করা এক মিনিটের ব্যাপার। তিন ঘণ্টা লাগবে কেন? এখানেও তো আপনাদের অবহেলা রয়েছে। দুদক কৌসুলি বলেন, এখানে দুদকের কোন অবহেলা নেই। অবহেলা ছিল পুলিশের। আদালত বলেন, আমরা চাই আমাদের অর্থনীতি ভালো থাকুক। এভাবে যদি টাকা বাইরে চলে যায় তাহলে দেশের মানুষ কীভাবে ভালোভাবে জীবন যাপন করবে। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।

Manual2 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code