নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আয়োজনে যুব সমাবেশে বক্তারা বলেন, যুগে যুগে যুবকরাই দেশের উনড়বয়নে কাজ করেছে। যুবলীগের ইতিহাস অপশক্তির অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে যুবলীগের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। যে স্বপড়ব নিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগের অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই পথেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে এবং যুব সমাজের অহংকার আলহাজ্ব ওফর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশিদের দিকনিদের্শনা যুবলীগ এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বপেড়বর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়। গত ১৩ নভেম্বর রবিবার নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা স্টার কাবাব রেষ্টুরেন্ট যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক এ.কে.এম তারিকুল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক বাহার খন্দকার সবুজের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা এ সব কথা বলেন। যুব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আতিকুর রহমান সুজন,একরামুল হক সাবু, আমিনুল ইসলাম, মো: রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু, ইসমাঈল হোসেন স্বপন, শাহ রহিম শ্যামল, তানজীর আলম, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সদস্য সাইফুল্লাহ ভূইঁয়া, স্বপন কর্মকার, সফি আনসারী, সিরাজুল আলম, অলিউল ইসলাম বাদল, তরিকুল ইসলাম বাদল,আব্দুল কদ্দুস জয়, মোহাম্মদ রাসেল, জনি রহমান, মো: দেলওয়ার হোসেন, মো: কামরুজ্জামান জনি, এনামুল হক ভূইঁয়া, মো: ফখরুল আবেদিন (মাসুম), যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল মুহিত, মো: জিয়াউল হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রব খান জামাল, শফিউল গনি খালেদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক গণেশ কীর্ত্তনিয়া, সাবেক ত্রান ও মানবাধিকার সম্পাদক আব্দুর নূর হারুন, সাবেক আইটি বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হাসান আল মাহবুব, সাবেক সদস্য সারোয়ার হোসেন, রফিক আলী, নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের সভাপতি খন্দকার জাহিদ, সাধারন সম্পাদক সুমন মাহমুদ, ম্যানহাটন যুবলীগের সভাপতি সামছুল আলম খান, ব্রঙ্কস যুবলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস আহমেদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত সমাজ তথা সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব-স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মূলনীতিকে সামনে রেখে এই যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে অদ্যবধি যুব সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের পাশাপাশি, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারণ, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও আত্মনিভর্রশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা লক্ষে সংগঠনটি নিরলসভাবে কাজ করছে। তারা বলেন, ‘সৃষ্টিশীল মানুষই যুবক’। বয়সের সীমায় যৌবনকে বাঁধা যায় না। যুব সংগঠন জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকার জন্য প্রয়োজন পরিপক্ক নেতৃত্ব। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন হিসেবে আমাদের অতীতকে ভূলে গেলে চলবেনা। সকল ষড়যন্ত্রকে মোবাবেলার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে ইস্পিত লক্ষে পৌঁছতে হবে। তারা বলেন, রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে কিন্তু প্রতিহিংসা নয়। দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন শান্তি ও উনড়বয়নের মডেল। এমতবস্থায় আমাদেরকে প্রতিহিংসা আর ভূলবুঝাবুঝির উর্ধে রাজনীতি করতে হবে। আমাদের সফলতাই দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফলতা। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আমাদের অভিজ্ঞ ও রাজনৈতিক দূরদর্শি কর্মীর প্রয়োজন। তাহলেই সফলতা সম্ভব। আর প্রতিহিংসা নয় দেশ ও জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধতা প্রয়োজন।
Related
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।